•ভগবানের রাজ্যে প্রত্যেকটার সঙ্গে প্রত্যেকটার যােগ, নিত্যযােগ।
•যেমন, ভেতরে অজ্ঞানের পরদা আছে, জ্ঞানেরও দরজা আছে।
•একটি বালুকাকণাতে তিনি যেভাবে পূর্ণ, মানুষের মধ্যেও সেইভাবে পূর্ণ আবার অখণ্ডতেও সেইভাবে পূর্ণ।
• ভগবানকে পাওয়ার জন্য যে ক্রিয়া তা-ই সংযম। যে বহিঃক্রিয়ায় অনিত্যের পেছনে, নিয়ে যায় তাই অসংযম।
• ক্ষণিক তৃপ্ত, আবার অতৃপ্ত। ভগবানের (কৃপা) বর্ষণ তাে সব সময় হচ্ছে। উল্টো করে রাখলে বয়ে যাবে, সােজা করে রাখলে ভরে যাবে। সংযমিত জীবন না হলে হবে না।
• পাথর দেখলে বিগ্রহ নেই, আর বিগ্রহ দেখলে পাথর নেই।
•জীবনের প্রতিটি কর্ম তাকে সমর্পণ করার চেষ্টা করা দরকার, এইভাবে করতে করতে ক্রমশঃ মনে আসবে যে, “লােভ, ক্রোধ ইত্যাদি সব খারাপ জিনিস তাকে কী করে দেবাে? তিনি যে আমার কত প্রিয় আপনজন।”—যে মুহূর্তে তােমার এই সমৰ্পণ, সেই মুহূর্তেই যা নিত্য অখণ্ড পূর্ণত্ব তার প্রকাশ।—নিষ্কাম কর্ম বড় সুন্দর, ভােগ-বাসনার দিক নেই কি না।
• নতুন সৃষ্টি সর্বদাই হচ্ছে। সৃষ্টি অনাদি অনন্ত। কালের মধ্যেই সৃষ্টি হয় সত্য, কিন্তু ফালাতীত অবস্থাও তাে আছে।—সবই যুগপৎ অনন্ত কাল ধরে চলেছে।
• যে দিন যায়, সেদিন আর ফিরে আসে না।
• যিনি পূর্ণ বা অখণ্ডভাবে প্রভু, তিনিই খণ্ড বা অংশরূপে দাস।
• স্থূলভাবে দীক্ষার প্রয়ােজন, সকলের জন্য সব (লাগে) না।
• যখন (সাধকের আধারে সুপ্ত) কুণ্ডলিনীশক্তি জাগ্রত হয় তখন নাভিমূলে যেসব গ্রন্থি আছে তা খুলতে আরম্ভ করে,—নানারূপ শব্দ শােনা যায় ও জ্যোতিঃ দর্শন হয়। লােকের সংস্কার অনুসারে নানারূপ দর্শন হয়। জগতের সমস্ত জিনিসই এক মূল হতে উৎপন্ন। যার সমস্ত গ্রন্থিভেদ হয়েছে সে-ই জগতের সৃষ্টি-স্থিতি এবং লয়ের কারণ বুঝতে পারে।
• শ্রেয় গ্রহণ, প্রেয় ত্যাগ। অনুকূল সাহায্য আসবেই।
• দেহ-মনের রাজ্যেই বিরুদ্ধ শক্তির অধিকার। তাই স্থিরভাবে বসা, স্থিরাসনে চেতনার ধারা নিয়ে দীর্ঘ সময় থাকার চেষ্টা প্রয়ােজন।
• ঘর একটিই তাে। এই ধরম পিতা, পরম মাতার ঘর। সকলে এক ঘরের তাই পর কেউই নেই।
• ভগবানের খেলা, লীলা—সৃষ্টি-স্থিতি-লয় সবই নৃত্যরূপে প্রকাশ।
• যে যেদিকে যাবে, ভেদও পাবে, অভেদও পাবে।
• আমাদের মধ্যে “অখণ্ড” আনন্দ, “অখণ্ড” শান্তি আছে বলেই তাে “অখণ্ড” আনন্দ চাওয়া জীবের স্বভাব। কারণ “খণ্ড”তে সে তৃপ্ত নয়। সেই “অখণ্ড” আনন্দ পেতে হলে আমাদের “স্বভাবের কর্ম” নিতে হবে।
• তিনি আনন্দময় বলে, বস্তু মাত্রেরই জীবনময় লক্ষ্য “আনন্দ”।
• এ সবই তার লীলা। নিজেকে নিয়েই নিজে খেলা করছেন।
• কর্ম করে কে? কর্মও তিনি করছেন, ফলভােগও তিনি করছেন।
• এই বিশ্বখানি সবই তার বিভূতি। তিনি তার ক্রিয়াস্থল।
• উপদেশ সকল স্থানেই ছড়িয়ে আছে। কেবল কুড়িয়ে নিতে পারলেই হয়।
No comments: