• যদি প্রকৃত শান্তি ও আনন্দের সন্ধান পেতে চাও তবে সব (আসক্তি) ছেড়ে ভগবানকে ডাকো। পেছন ফিরে চেয়াে না। সকল রকম বিষয়বাসনা না ছাড়লে সে পথে এগােনাে যায় না।
• নিষ্কামভাবে কাজ করে যাবে। যশ আর প্রতিষ্ঠাকে বিষ্ঠার ন্যায় ঘৃণা করবে। পরের সেবা করতে এসে যদি মনের কোণেও আত্মপ্রশংসার আকাঙ্খা জাগে, তবে সাধক জীবনে তা আত্মহত্যারই তুল্য জানবে।
• ভগবানকে সে সত্যিকারের ভালােবাসতে পারে, ভগবান কি কখনাে তাকে দেখা না দিয়ে থাকতে পারেন। তিনি ভক্তের কাঙাল। ভক্ত ব্যাকুল হয়ে তাকে ডাকলে।
• ধর্মলাভের পথে যােগ্যতার বিচারে নারী-পুরুষে কোনাে ভেদ নেই।
• বাড়ির, গ্রামের, দেশের, বিদেশের....অনন্ত ব্রহ্মান্ডের সবাইকে আপন করে নাও, ভালােবাসাে।
• ক্রোধ, মান-অভিমান, ঘৃণা, ভয়, অনিষ্ঠা জন্মের মতাে ছেড়াে। বিষয়-চিন্তা, 'ভােগ-বিলাস ত্যাগ করাে। বিরােধ, বিদ্বেষভাব রেখাে । খাদ্য বিচার সবাই করাে, সুরায় মানুষ খায়। কুসঙ্গ, কুজনের অনুরােধ, কু-স্থানে গমন, কু-দৃশ্য দর্শন, কু-দান গ্রহণ, কু-গ্রন্থ পঠন, কায়মনে বর্জন করাে। নিদ্রালস্য ত্যাগ করাে, চিন্তা করে কাজ করাে।
• প্রেমভক্তি ভিন্ন জীব শব-তুল্য, অসার। লক্ষ লক্ষ জন্ম অশেষ কর্মভােগ এবং দুর্গতির পর...প্রেম ও রতি জন্মায়।
• বৃথা সময় নষ্ট করাে না। তেজ অচল, অটল থাকলে, একান্ত ইচ্ছায় মানুষ সবই পারে । মূর্খ থেকো না।
• চৈতন্য লাভ করাে নৈষ্ঠিক হও। মাঙ্গল্যে রও। ধর্মে জয়যুক্ত হও। ভজন, দর্শন, জপন, স্মরণ, নিবেদন, আত্মসমর্পণ।
• এক সচ্চিদানন্দ ভগবানই বিশ্বরূপ ধারণ করেন।
• মুক্তি, প্রাক্তন, পরকাল ও পরিণামাদি (জীবের) স্ব-স্ব কর্মানুযায়ী। ...সময় থাকতে থাকতে হরিনাম করাে।...মঙ্গল হবে।
•“আমি” যে “আমি” সে “আমিই মাত্র। সুতরাং দ্বিতীয় “আমি” কদাচ হতে পারে না।
• কারাের প্রতি কটু, কুৎসা ও ঘৃণিত বাক্য বলতে নেই।...জীবমাত্রেই। প্রাণে উদ্বেগ দেবে না।...কাউকে মর্মে ব্যথা দেওয়া উচিত না।
• ক্ষুধার্ত দেখলে খাদ্য দিও সাধ্যমত।...সকলকে আপন ভেবে এক হয়ে থাকো।
• যে সংসারে শান্তি পায় না, সে সংসার ত্যাগ করেও শান্তি পায়। ...ভ্রষ্ট বুদ্ধি হয়ে পিতা-মাতার মনে কষ্ট দিতে নেই।
• আত্মসংযমে আত্মরক্ষা। আত্মবিশ্বাসে ধর্ম হয়।..সদা সত্য, সদা পবিত্রতা, সদা নিষ্ঠা, আত্মশুচিতে বপুরক্ষায় গৃহশুচিতে গ্রাম্যশুচি। গ্রামশুচিতে দেশশুচি। দেশশুচিতে জগৎশুচি। জগৎশুচিতে চতুর্দশ ভুবনশুচি।
• দেহ-মন শুদ্ধ হলে জ্ঞানের উদয়। জ্ঞান বিনা মনুষ্য জন্ম বৃথা।...চৈতন্যলাভ করাে।
• কোনাে রিপুকে প্রশ্রয় দিলে উপায় নেই।....একটি রিপুকে প্রশ্রয় দিলে ক্রমে সমস্ত রিপু এসে শক্ত করে ধরবে। যেমন লােভকে প্রশ্রয় দিলে সঙ্গে সঙ্গে ক্রোধ এসে উপস্থিত হয়। ক্রমে সব রিপু প্রবল হবে। সুতরাং আত্ম হিতাকাঙ্খী ব্যক্তি কখনাে কোন রিপুর বশীভূত হবে না....বিষয় বৈরাগ্য, ত্যাগই ধর্ম।
• হরিনামই রক্ষা, তােমরা সর্বত্র হরিনামই করবে।
• নিন্দায় জীবকে ভ্রান্তিকে ফেলে। সবাইকে সম্মান করবে। সবাই বিনয়ী হও। পরচর্চা বিষের মতাে ত্যাগ করাে। বৃথা বাক্য বলাে না।
No comments: