স্বামী প্রণবানন্দের বানী ( quotes by Swami Pranabananda )
•যেখানে রিপু ও ইন্দ্রিয়ের ওপর কোনােরূপ আধিপত্য নেই সেখানে ধর্মের প্রভাব থাকতে পারে না।
•জীবনের উন্নতির মূল আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদাবােধ। আত্মশক্তির বিকাশ-প্রকাশ, উন্মেষ-উদ্বোধনের ভেতরেই মানুষের প্রকৃত মনুষ্যত্ব-বীরের বীরত্ব। অনন্ত অসীম শক্তিসামর্থ্য, বিক্রম পরাক্রম মানুষের ভেতরে আছে। একমাত্র অনুশীলনের দ্বারাই তার বিকাশ সম্ভব। যার চেষ্টা উদ্যম, তার সমস্তই আছে।
•যে দিনরাত্রি পরিশ্রম করছে, সে পারুক না পারুক চেষ্টা তাে করছে। যার চেষ্টা আছে, উদ্যোগ আছে, তার ওপরই সহানুভূতি হয়। সে-ই সদ্গুরুর সাহায্য লাভ করতে পারে। গুরুশক্তিই তাকে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে যায়। আর যে ব্যক্তি কোনাে চেষ্টা করে না, পরিশ্রম করে না, তার ওপর আবার সহানুভূতি কী?
•মানুষ যদি কু-চিন্তা, কু-ভাবনা না করে পাঁচ মিনিটও ভগবানকে ডাকতে পারে, তবে তাই ভালাে, তাতেই তাদের প্রকৃত কল্যাণ হবে, উন্নতি হবে। আর কু-চিন্তা কু-ভাবনা করে পনের ঘন্টা সাধন ভজন করলেও কিছুই হবে না। শুধু ভগবানের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে। যে চিন্তা-ভাবনা তােমার মনকে নীচ ও দুর্বল করে তা অবিলম্বে পরিহার করাে।
• সর্বাগ্রে চাই মানুষ গঠন। “মানুষের মতাে মানুষ তৈরি না হলে সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে।...একটি খাঁটি মানুষ তৈরি হলে সমগ্র জাতি তার শক্তিতে শক্তিমান হয়ে একটা নতুন অভ্যুত্থান, একটা নতুন যুগের সৃষ্টি করতে পারে।
•যা তােমাকে তােমার লক্ষ্যস্থলে পৌছিয়ে দেবে তা-ই প্রকৃত কর্ম ও সাধনা। প্রতি মুহূর্তে ভেতরের ভাবের দিকে তীব্র দৃষ্টি রেখে চলবে, যাতে বিপথে পা না পড়ে।
• মনের খুব দৃঢ়তা চাই। যখন পড়বে, তখন পড়বেই, আর যখন ধ্যান করবে, তখন ধ্যানই করবে। যখন যা করবার তা করবে, কিছুতেই পশ্চাৎপদ হবে না। আর যা না করবার তা কিছুতেই করবে না, সমস্ত পৃথিবীর লােক এসে অনুরােধ করলেও না। এইরূপ দৃঢ়তা থাকলে জীবনের কোনাে উন্নতি হয় না।
• জীবনের লক্ষ্য কী? মহামুক্তি, আত্মােপলব্ধি।
• প্রকৃত মানুষ যে সে আদর্শের জন্য, স্বীয় মহৎ সঙ্কল্প সাধনার জন্য জীবন বিসর্জন দিতে প্রস্তুত হয়, কিন্তু জীবনধারণের জন্য আদর্শ ও আদর্শসাধনার মহৎ সংকল্পকে বিসর্জন দেয় না।
• সর্বদা খুব কঠোর নিয়ম পালন করে চলবে। তাহলে এই কঠোরতাই তােমাদের জীবনকে সর্বদা বাইরের পঙ্কিল আবহাওয়া থেকে রক্ষা করবে।
• অপ্রয়ােজনীয় কথা বলবে না। বললে, তাতে মনের শক্তি হ্রাস পায়। যার সঙ্গে মিশলে সদ্ভাব, সৎ প্রবৃত্তি নষ্ট হয় তার সঙ্গে মিশবে না। অন্যায়ের সঙ্গে কখনাে আপােস রফা...করাে না।
•যারা এ জগতে অসাধারণ কিছু করতে চায়, তাদেরই নিন্দা-সমালােচনা সহ্য করতে হয়, তােমরা তা গ্রাহ্য করবে না। আজ যারা তােমার। নিন্দা-সমালােচনা করছে, ঠিক ঠিক ভাবে চলতে পারলে দু-দিন বাদে তারাই আবার তােমার প্রশংসা করবে।
•কখনাে কোনাে প্রলােভনের মধ্যে পড়লে, জীবনের ব্যাধি যন্ত্রণা এবং এই নশ্বর দেহের চরম পরিণতির কথা চিন্তা করে আত্মরক্ষা করবে।
• প্রতি মুহূর্তের যদি সদ্ব্যবহার করতে পারাে, তবে দেখবে কত অল্প সময়ের মধ্যে কত উন্নতি হয়েছে। যাদের জীবনে, কোনাে উচ্চ লক্ষ্য নেই, উন্নত কর্মধারা নেই, তারা কি “মানুষ”? ভ্রান্ত জীবের মতাে দিবারাত্রি আত্মবিস্মৃত অবস্থায় না কাটিয়ে নিজের দিকে তাকাতে হয় । ...প্রতি নিমেষে প্রতি পলকে জীবন যৌবনের পরিণতির বিষয় স্মরণ রেখে আত্মস্মৃতি , আত্ম অনুভূতিকে জাগরুক রাখতে হয় । জীবনের অমূল্য সময়কে আলস্য জড়তা ও শৈথিল্যবশতঃ নস্ট কোরো না ।
No comments: