সম্প্রতি জিও বাদে ভারতের সমস্ত টেলিকম কোম্পানির গ্রাহক-প্রতি গড় আয় কমেছে অনেকটাই । এর অন্যতম কারন , গ্রাহকের প্রায় প্রত্যেকেই ডুয়াল সিম ব্যবহার করেন । একটি সিম রিচার্জ করালেও বেশিরভাগ গ্রাহক ২য় সিম দীর্ঘদিন রিচার্জ না করেই ইনকামিং কলের সুবিধা নেন। এর ফলেই কোম্পানিরই গ্রাহক প্রতি আয় কমেছে। সেই আয়ে জোয়ার আনতে এয়ারটেল প্রথমে এনেছিল ৩৫ টাকার রিচার্জ প্ল্যান , তারপর আনলো নতুন ২৩ টাকার প্ল্যান । এয়ারটেল প্রিপেড গ্রাহকরা ২৩ টাকা রিচার্জে ২৮ দিন ভ্যালিডিটি পাবেন। তবে এই প্ল্যানে কোন টকটাইম বা ডাটা পাওয়া যায় না। শুধুই ভ্যালিডিটি মিলবে এই রিচার্জে। এর পরে কল ও ডাটা ব্যবহারের জন্য আলাদা করে রিচার্জ করতে হয় । ২৩ টাকা রিচার্জ করলে লোকাল ও ন্যাশানাল কল করতে প্রতি সেকেন্ডে খরচ হবে ২.৫ পয়সা। লোকাল এসএমএস করতে ১ টাকা ও ন্যাশানাল এসএমএস করতে খরচ হবে ১.৫ টাকা। তবে বেশিরভাগ গ্রাহক শুধুমাত্র সিম-টিকে চালু রাখতে চান । কল ও মেসেজ করার জন্য সবারই একটি মেইন সিম থাকে । দ্বিতীয় সিমটি চালু রাখতে অন্তত ২৩ টাকা রিচার্জ করতেই হয় ।
এই সমস্যা সমাধানে আমাদের টিম একটি পদ্ধতি খুঁজে পেয়েছে যাতে আপনি মাত্র ১৬ টাকার বিনিময়ে সারা মাস ফোনে ইনকামিং চালু রাখতে পারবেন । কীভাবে করবেন স্টেপ বাই স্টেপ শিখে নিন ।
আপনারা জানেন এয়ারটেল ২৩ টাকা রিচার্জ প্ল্যানের আগে জানিয়েছিল সবাইকে ৩৫ টাকা বাধ্যতামূলক রিচার্জ করাতে হবে । এই ৩৫ টাকা রিচার্জে এয়ারটেল দেয় ২৬.৬০ টাকা টকটাইম ও ১০০ মেগবাইট ইন্টারনেট ডেটা । এছাড়াও কল চার্জ ১পয়সা/সেকেন্ড ।
প্রথমে আপনাকে আপনার সিমে এই ৩৫ টাকা রিচার্জ করাতে হবে । ৩৫ টাকা রিচার্জ করানোর ফলে আপনি ১ মাস ভ্যালিডিটি পাবেন । নির্দিষ্ট সিমটি থেকে যদি কল করার দরকার না পড়ে তাহলে আপনার ২৬.৬০ টাকা টকটাইম বেঁচে থাকবে । মাস ( ২৮ দিন ) শেষ হলে আপনি নতুন করে রিচার্জ করাবেন না । এর ফলে কোম্পানী হয়ত এক/ দুইদিন আপনাকে কল করবে রিচার্জ করানোর জন্য । আপনি রিচার্জ না করালে মেন ব্যালান্স অর্থাৎ ২৬.৬০ টাকা থেকে ২৩ টাকা কেটে নিয়ে পরবর্তী ২৮ দিনের ভ্যালিডিটি বাড়িয়ে দেবে । তাহলে ৩৫ টাকা রিচার্জ করে আপনার ২ মাস ভ্যালিডিটি পাওয়া হয়ে গেল । খরচ হল ১৭ টাকা ৫০ পয়সা / প্রতি মাস । এছাড়াও মেন ব্যালেন্সে ৩.৬০ টাকা বাকি থেকে যাবে যা জমতে থাকবে । দুই মাস শেষ হলে আবার একবার ৩৫ টাকা রিচার্জ করাবেন । একই সূত্রে আবার দুই মাস ভ্যালিডিটি পাবেন আর ৩.৬০ টাকা জমতে জমতে সপ্তম মাসে তা ২৫.২০ টাকা হয়ে যাবে , তখন এই টাকা দিয়ে একমাসের ভ্যালিডিটি বাড়িয়ে নিতে পারবেন ।
প্রথমে আপনাকে আপনার সিমে এই ৩৫ টাকা রিচার্জ করাতে হবে । ৩৫ টাকা রিচার্জ করানোর ফলে আপনি ১ মাস ভ্যালিডিটি পাবেন । নির্দিষ্ট সিমটি থেকে যদি কল করার দরকার না পড়ে তাহলে আপনার ২৬.৬০ টাকা টকটাইম বেঁচে থাকবে । মাস ( ২৮ দিন ) শেষ হলে আপনি নতুন করে রিচার্জ করাবেন না । এর ফলে কোম্পানী হয়ত এক/ দুইদিন আপনাকে কল করবে রিচার্জ করানোর জন্য । আপনি রিচার্জ না করালে মেন ব্যালান্স অর্থাৎ ২৬.৬০ টাকা থেকে ২৩ টাকা কেটে নিয়ে পরবর্তী ২৮ দিনের ভ্যালিডিটি বাড়িয়ে দেবে । তাহলে ৩৫ টাকা রিচার্জ করে আপনার ২ মাস ভ্যালিডিটি পাওয়া হয়ে গেল । খরচ হল ১৭ টাকা ৫০ পয়সা / প্রতি মাস । এছাড়াও মেন ব্যালেন্সে ৩.৬০ টাকা বাকি থেকে যাবে যা জমতে থাকবে । দুই মাস শেষ হলে আবার একবার ৩৫ টাকা রিচার্জ করাবেন । একই সূত্রে আবার দুই মাস ভ্যালিডিটি পাবেন আর ৩.৬০ টাকা জমতে জমতে সপ্তম মাসে তা ২৫.২০ টাকা হয়ে যাবে , তখন এই টাকা দিয়ে একমাসের ভ্যালিডিটি বাড়িয়ে নিতে পারবেন ।
অপারেটারদের বছর তো ১৩ মাসে হয় । কারন রিচার্জের ভ্যালিডিটি ২৮ দিন করে । এবং ২৮x১৩= ৩৬৪ দিন। তাহলে ১৩ মাসের এই বছরে মাত্র ৬ বার আপনি ৩৫ টাকা রিচার্জ করালে ১২ মাসের ভ্যালিডিটি পেয়ে যাচ্ছেন , সাথে অল্প অল্প করে টাকা জমে একমাস ফ্রী হয়ে যাবে অর্থাৎ ১৩ মাসে মাত্র ৬ বার রিচার্জ । সারা বছরে মোট রিচার্জ এর পরিমান দাড়ালো ২১০ টাকা । অর্থাৎ মাসে গড়ে ১৬ টাকা ১৫ পয়সা খরচ ।
আপনি যদি উক্ত সিম থেকে কল বা মেসেজ না করেন তবেই এই ফর্মুলা কাজে লাগবে ।
পদ্ধতিটি ভালো লাগলে এই তথ্যটি শেয়ার করুন । অনেক মানুষ নিশ্চিতভাবে উপকৃত হবেন । নীচের Whatsapp / Facebook আইকনে ক্লিক করে শেয়ার করতে পারেন ।
মাসে ৩৫ নয় ১৬ টাকাতেই পাবেন ২৮ দিন ভালিডিটি কীভাবে করবেন জেনে নিন
Reviewed by Wisdom Apps
on
February 13, 2019
Rating:
No comments: