অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস -ক্যাথিড্রাল রোডে অবস্থিত। এখানে মুঘল, ব্রিটিশ ও ভারতীয় চিত্রকলার একটি অসামান্য স্থায়ী প্রদর্শনকক্ষ আছে। বিভিন্ন নাটক ও অন্যান্য অনুষ্ঠান এখানে অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মতলা থেকে (কার্জন পার্ক ও মেয়ো রোডের সংযোগস্থল)। ৪৭, ৪৭এ, ১৪/১, ২বি, স্টপ-ধর্মতলা।
অ্যাকোয়াটিকা-রাজারহাটের কাছে কোচপুকুরে হাতগাছিয়ায় তৈরী হয়েছে এই ওয়াটার পার্ক। জলের উপর অনেক রাইড আছে। টিকিট-সোম-শুক্র ১৫০ টাকা, রবি ও অন্যান্য ছুটির দিন-২০০ টাকা। খোলা-সকাল ১০.৩০ থেকে সন্ধে ৬.৩০টা। ফোনঃ ৯৩৩৯৩৮৬৩৬৩/৩২০০৭৯৪৭ । পোশাক ভাড়া পাওয়া যায়।
আলিপুর আবহাওয়া অফিস -ডায়মন্ডহারবার রোড ও স্টানডেল রোডের মুখে অবস্থিত। এখান থেকে পূর্বভারতের সমস্ত আবহাওয়ার গতি-প্রকৃতি জানানো হয়। ১৭১৭ নম্বর ডায়াল করলে আবহাওয়ার খবর জানা যাবে। ধর্মতলা থেকে-৭৬, এস ১৬ ও মিনিবাস। স্টপ-ডুয়েল এভিনিউ।
আলিপুরচিড়িয়াখানা -১৮৭৬সালেআলিপুরে ৪৫ বিঘা জমির উপর এই চিড়িয়াখানা গড়ে ওঠে। বিভিন্ন ধরনের পশুপাখীর অবস্থান এখানে। পাখি, হরিণ ও অন্যান্য জীবজন্তু মুক্ত আকাশের নীচে অবাধ বিচরন করে। সাদাবাঘ, জলহস্তি এবং আফ্রিকার ভয়াবহ সিংহকে এখানে দেখা যায়। প্রতি বৃহস্পতিবার বন্ধ। টিকিটের মূল্য ৫ টাকা। ধর্মতলা থেকে-ঠাকুরপুকুর, বেহালা-বিবাদিবাগ, মিনিবাস ও ৭৭এ বাস, স্টপ-চিড়িয়াখানা। সকাল ৯টা-৫টা, ফোন-২৪৭৯-১১৫০, ২৪৩৯-৯৩৯১
আশুতোষ মিউজিয়াম -কলেজ স্ট্রিটের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শতবার্ষিকী ভবনের নীচে অবস্থিত। বাংলার কারুশিল্প; পট ও বিভিন্ন সময়ের আঁকা চিত্র এখানে আছে। পুরাতত্ত্বের উপর অনেক কিছু দ্রষ্টব্য জিনিষ এখানে দেখা যায়। ধর্মতলা থেকে-৩৪বি, ৪৬, ৪৬এ, ৭৮/১, সি-৬ বাস, ৫নং ট্রাম। স্টপ-ইউনিভার্সিটি। ২২৪১-৪৯৮৪(১০-৫.৩০)
আর্মেনিয়ান চার্চ -আর্মেনিয়ান স্ট্রিটে অবস্থিত। অষ্টাদশ শতাব্দীতে তৈরী। কলকাতার সবচেয়ে পুরোনো চার্চ। ধর্মতলা থেকে-হাওড়াগামী যে কোন বাস ও মিনিবাস। স্টপ-বড়বাজার (ব্রেবোর্ণ রোড)।
ইডেন গার্ডেনস -হাই কোর্টের দক্ষিন দিকে অবস্থিত। ১৮৪০ সালে লর্ড অকল্যান্ডের ভগিনী মিস ইডেন-এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। তাই নাম হয় ইডেন গার্ডেনস। একটি বার্মিস প্যাগোডা আছে। সুন্দর দর্শনীয় স্থান। ২০০০ সালের প্রথমে এটি নূতন করে রাজ্য সরকার সাজিয়েছে। এর পাশেই পৃথিবীখ্যাত ক্রিকেট স্টেডিয়াম-ইডেন উদ্যান। স্টপ-বাবুঘাট অথবা আকাশবানী।
এশিয়াটিক সোসাইটি -১৭৮৪ সালে উইলিয়াম জোন্স এটি স্থাপন করে ওয়ারেন হেস্টিংসের সাথে। ১নং পার্ক স্ট্রিটে অবস্থিত। এখানে সাহিত্য, পুরাতত্ত্ব, বিজ্ঞানের এক প্রতিষ্ঠিত গবেষণাকেন্দ্র। বহু দুর্মূল্য পত্রপত্রিকা, মুদ্রা, ছবি এখানে সযত্নে রক্ষিত আছে। ধর্মতলা থেকে-পার্কস্ট্রিটগামী যেকোন বাস ও মিনিবাস। স্টপ-পার্ক স্ট্রিট। ২২২৯-৭২৫১।
এ্যাগ্রো হর্টিকালচার গার্ডেন -বহু দুর্মূল্য পুষ্পে শোভিত এই বাগান। মাঝে মাঝে প্রতিযোগিতা চলে। শীতকালে দেখবার মতো স্থান। বর্ধমান রোডে অবস্থিত। ধর্মতলা থেকে-এস-১৬, ১৩, ৭৬। ২২২৯-৭২৫৯।
এনার্জী এডুকেশন পার্ক -দূষনমুক্ত অপ্রচলিত শক্তি ব্যাবহারের প্রসাবে এখানে গড়ে উঠেছে সৌর শক্তি দ্বারা চালিত এই পার্ক। ই পি, জি পি ব্লক, সেক্টর-৫, বাইপাস, ২২৮৫-৫১৬০। নতুন সংযোজন-সূর্যে পাড়ি।
কলকাতা হাইকোর্ট -ওল্ড পোষ্ট অফিস স্ট্রিটে অবস্থিত। ১৮৭২ সালে তৈরী। প্রাচীন নির্মান স্থাপত্যের এটি একটি দর্শনীয় বাড়ি। ৪৪ মিটার উঁচু এই টাওয়ারে চীফ জাস্টিস কোর্ট, সেশন কোর্ট, বার লাইব্রেরী, অ্যাটর্নী লাইব্রেরী অবস্থিত, ধর্মতলা থেকে-বিবাদিবাগ ও স্ট্যান্ড রোড গামী যে কোন বাস ও মিনিবাস। স্টপ-ব্যাঙ্কশাল কোর্ট।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় -কলেজ স্কোয়ারে অবস্থিত। ভারতের শিক্ষা ব্যাবস্থার অন্যতম এই প্রতিষ্ঠান। ১৫০ বছরে(২০০৬) পড়ল। দেশ ও বিদেশে সুনামের সাথে জড়িয়ে আছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। বহু বিদগ্ধ পন্ডিত এখানে অধ্যাপনা করে গেছেন এখনও করছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে সেন্টেনারি বিল্ডিং, দারভাঙ্গা বিল্ডিং, আশুতোষ বিল্ডিং, সেন্ট্রাল লাইব্রেরী, আশুতোষ মিউজিয়াম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস। বহু দুষ্প্রাপ্য নতুন ও পুরাতন বই-এ সমৃদ্ধ এখানকার সেন্ট্রাল লাইব্রেরী। ধর্মতলা থেকে-৪৬, ৪৬এ, ৭৮/১, ৭৮সি। স্টপ-ইউনিভার্সিটি।
কলকাতা বন্দর -খিদিরপুরে অবস্থিত। ভারতের সবচেয়ে বড় ও ব্যস্ততম বন্দর এটি। ১০ মিলিয়ন টন মালপএ প্রতি বছর এখানে ওঠানো নামানো হয়। ভারতের মধ্যে জলপথে সবচেয়ে বেশী মাল পরিবহন এখান থেকে হয়ে থাকে। ধর্মতলা থেকে-টালাপার্ক-খিদিরপুর, মিনিবাস, ১২/১ বাস। স্টপ-খিদিরপুর।
কলকাতা কর্পোরেশন -৫নং এস. এন. ব্যানার্জী রোডে অবস্থিত। নিউ মার্কেটের পাশে ১৮৭২ সালে ম্যাকিনটস বার্নের মিঃ অসমন্ড এর নকশা তৈরী করেন। ৬ বিঘা ১৬ কাটা ৩৪ ছটাক জমির উপর এই কর্পোরেশনের অফিস। এখান থেকে কলকাতার নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্যের দেখাশোনা হয়ে থাকে, ১৯৮০ সালে নতুন কর্পোরেশনের আইন অনুযায়ী। ধর্মতলা থেকে-হাঁটা পথে। স্টপ-কলকাতা কর্পোরেশন।
কালীঘাটের কালীমন্দির -আদি গঙ্গার তীরে অবস্থিত, হিন্দুদের পবিত্র ধর্মস্থান। কালী হল শক্তির প্রতীক। পুরানে কথিত আছে এখানে সতীর অঙ্গচ্ছেদের পায়ের আঙ্গুল পড়েছিল। ধর্মতলা থেকে-২, ২বি, ৪এ, ৫ ও ৬ নং বাস ও টালিগঞ্জ-হাওড়া, লেকগার্ডেনস, বিবাদি বাগ মিনিবাস। স্টপ-কালীঘাট। খোলা সকাল ৬টা-২টা ও সন্ধে ৫টা১০টা।
ক্লাউন টাউন -জোকারদের নিয়ে অনেক খেলা আছে। গড়গাছা, পাটুলী, গড়িয়া, কলকাতা-৮। ২৪৩৬-৮৮৪৩/৯৩২২। প্রতিদিন ২-৮ ও ছুটিরদিন সকাল ৯টা থেকে।
গর্ভমেন্ট কলেজ অব আর্ট এন্ড ক্রাফট -ভারতীয় যাদুঘরের দক্ষিন পার্শব অবস্থিত। এখানে স্নাতক স্তরে আর্ট এন্ড ক্রাফট-এর শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে। ভারত ও পাশ্চাত্য চিত্রকলার মূল্যবান ছবি এখানে শোভিত আছে। এখান থেকে ভারত তথা বাংলার বহু নামজাদা শিল্পীর আবির্ভাব ঘটেছিল। ধর্মতলা থেকে-পার্ক স্ট্রিটগামী যে কোন বাস, মিনিবাস অথবা হাঁটাপথে। স্টপ-মিউজিয়াম, অথবা পার্ক স্ট্রিট। ২২৪৯-২০২৭।
গুরুসদয় মিউজিয়াম -বেহালার জোকার কাছে বিশিষ্ট ব্রতচারী গুরুসদয় দত্ত এই গ্রাম প্রতিষ্ঠান করেন। এখানে একটি মিউজিয়াম আছে। এখানে লাঠি খেলা, বিভিন্ন রকম ব্রতচারী শেখানো হয়। এখানে ৩৬ নং ট্রাম ও জোকা গামী বাস যায়। ২৪৬৭-৬০৪৮। (১১-৪.৩০) সোমবার বন্ধ।
চার্ণকের সমাধিক্ষেত্র -সেন্ট জন চার্চের মধ্যে অবস্থিত। কলকাতার পত্তনকারী জব চার্ণককে এখানে সমাহিত করা হয়েছিল। বহু পুরানো এই সমাধিক্ষেত্র। ধর্মতলা থেকে-বিবাদি বাগ গামী যে কোন বাস ও মিনিবাস। স্টপ-বিবাদিবাগ। (কাউন্সিল হাউস স্ট্রিট)।
জি.পি.ও -বিবাদী বাগে অবস্থিত, কলকাতা ডাকঘরের প্রধান দপ্তর। স্থাপত্য শিল্পের অসাধারন নমুনা এই বাড়ি। ধর্মতলা হইতে-বিবাদি বাগ গামী যে কোন বাস। স্টপ-জি.পি.ও।
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি -উত্তর কলকাতার গণেশ টকিজের কাছে অবস্থিত। এখানে বিশ্বকবি রবীব্দ্রনাথ জন্মগ্রহন করেন। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর এখানে নাস করতেন। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অংশ এখানে অবস্থিত। এখানে নৃত্যগীত, নাটক ও শিল্পকলার শিক্ষা দেওয়া হয়। আলোকধবনি প্রদর্শনী-নভেম্বর-জানুয়ারী সন্ধে ৬টা(বাংলা) ও সন্ধে ৭টা ইংরেজি। ফেব্রুঃ-অক্টোবর-৬টা ৩০ ও ৭টা ৩০ ইংরেজী (সোম, বৃহস্পতি বন্ধ)। প্রবেশ মূল্য-১০টাকা। ২২৬৯-৫২৪১/৫২৪২। ধর্মতলা থেকে-৪বি বাস, ১০ ও ৪নং ট্রাম। স্টপ-ঠাকুরবাড়ি। ২২৩৯-৫২৪১।
ডালহৌসী স্কোয়ার -(বিবাদী বাগ)-ধর্মতলা থেকে হাঁটাপথে এই ব্যস্ততম এলাকা হল ডালহৌসী স্কোয়ার। কলকাতার একটি গুরুত্পূর্ণ স্থান। লাল দীঘির চারপাশে অবস্থিত মহাকরন, জি.পি.ও., টেলিফোন ভবন, স্টিফেন হাউজ এবং সরকারী বেসরকারী বহু গুরুতপুর্ণ অফিস। বিনয়, বাদল, দীনেশ বাগ নামে এর নুতন পরিচিতি। ধর্মতলা থেকে-বিবাদী বাগগামী যেকোন বাস ও ট্রাম। স্টপ-বিবাদি বাগ।
নিউ মার্কেট -লিন্ডসে স্ট্রিটের কাছে এই মার্কেট। আগে বলা হত হগ মার্কেট। শপিং করবার একটি গুরুতবপূর্ণ স্থান। কিছুদিন আগে বেশ কিছু অংশ আগুনে ভস্মীভূত হওয়ার পর একটি বহুতল মার্কেট গড়ে উঠেছে সেই জায়গায়। স্টপ-লিন্ডসে স্ট্রিট। ধর্মতলা থেকে-হাঁটাপথে।
নন্দন -রবীন্দ্র সদনের নিকট অবস্থিত। একটি সুন্দর সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও সিনেমাহল রয়েছে। ফিল্মোৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, বহু গুনী মানুষের সমাগম হয় এখানে। বহু অনুষ্ঠান হয় এর চত্বরে। ধর্মতলা থেকে-১৪/১, ৯এ, ৪৭/১, ৪৭এ ও মিনিবাস। স্টপ-রবীন্দ্রসদন।
ন্যাশনাল লাইব্রেরি -আলিপুর চিড়িয়াখানার কাছে অবস্থিত। পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ গ্রন্থাগার। পুর্বতম নাম ছিল ইমপিরিয়াল লাইব্রেরি। ইংরেজ আমলে বাংলার লেফটনেন্ট গভর্নরের বাংলো ও অফিস ছিল। ধর্মতলা থেকে-ঠাকুরপুকুর, বেহালা মিনিবাস ও ৭৭এ বাস। স্টপ-আলিপুর জু। ২৪৭৯-২৯৬৮।
নাখোদা মসজিদ -চিৎপুরে অবস্থিত। কলকাতার মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় মসজিদ। অপূর্ব স্থাপত্য নৈপুণ্যের কারুকার্য এই মসজিদে দেখা যায়। ধর্মতলা থেকে-৪বি বাস, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, নিমতলা মিনিবাস। স্টপ-চিৎপুর(বিবাদি বাগের উত্তরে)। ২২৩৫-৪১৮৩।
নলবন -নিকো পার্কের নিকট এই নলবন। প্যাডেল বোট, হাউস বোট ও ওভার ক্রাফট এই নলবনের জলাশয়ে চলে। প্যাডেল বোট চালিয়ে অনেক দুরে চলে যাওয়া যায়। ধর্মতলা থেকে-এম এস ৩৫, স্টপ-নিকো পার্ক। ২৩৫৭-২৮৮৮/৩৫৪৮, খোলা সকাল ৯টা-রাত ৯টা, সেক্টর ৪, সল্টলেক। মাছ ধরবার জন্য যোগাযগ-৫৫৪০-৩২৯২।
নির্মল হৃদয় -কালিঘাট মন্দিরের নিকট অবস্থিত। মাদার টেরিজা তার মিশন দ্বারা এই নির্মল হৃদয় চালু করেন। এখানে পঙ্গু, অন্ধ, আতুরের আশ্রয়স্থল ও তাদের চিকিৎসা হয়ে থাকে। ধর্মতলা থেকে-৪৭/১, ৫ ৪০এ বাস। স্টপ-কালিঘাট।
নরেন্দ্রপুর পাখিরালয় - এখানে বিভিন্ন জাতের পাখির কলকলানি ও সবুজায়নে আপনার মনকে মুগ্ধ করবে। অসংখ্য ভেষজ গাছ সহ এক মনোরম বেড়াবার জায়গা। ধর্মতলা থেকে-হরিনাভী-বিবাদী বাগ মিনিবাস ও গড়িয়া থেকে অটো।
নিক্কো পার্ক(ঝিলমিল) -সল্টলেক-এ অবস্থিত। শিশুদের আনন্দ উৎসবের অন্যতম এই পার্ক। বিভিন্ন রাইড চলে। রোপওয়ে, ওয়াটার ব্যালে, টয়ট্রেন, রিভার কেভ, সুপার বোল এখানে উল্লেখযোগ্য। ধর্মতলা থেকে-এম এস ৩৫। স্টপ-নিকো পার্ক। ২৩৫৭-৬০৫২/৮১০১-০৪। খোলা-বেলা ১১টা-রাত্রি ৮টা, প্রবেশমূল্য-৫০টাকা।
নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়াম -হাইকোর্টের সন্মুখে অবস্থিত। এশিয়ার অন্যতম সেরা ইনডোর স্টেডিয়াম। ধর্মতলা থেকে-বাবুঘাটগামী যে কোন বাসে। স্টপ-আকাশবাণী।
নেতাজী ভবন -এলগিন রোডে অবস্থিত। বাংলা তথা বিশ্বের ভ্রমন পিপাসু, ইতিহাসবিদ, সমাজ সচেতন জনসাধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান। এখানে নেতাজীর মহাপ্রস্থানের সেই গাড়ি, নেতাজীর ব্যবহৃত জিনিষপএ, বহু মূল্যবান ছবি দেখা যায়। নেতাজীর উপর একটি তথ্যচিএ দেখানো হয়। ২৪৭৫-৬১৩৯। ধর্মতলা থেকে-৪৭/১ বাস।
নেহেরু চিল্ডেন্স মিউজিয়াম -চৌরঙ্গী রোড ও ক্যামাক স্ট্রিট ক্রসিং-এর নিকট অবস্থিত। ভারতীয় শিল্পকলা, রামায়ন, মহাভারত, সুন্দর মাটির মূর্তি দিয়ে বর্ণনা করা আছে। একটি সুন্দর শিশুদের লাইব্রেরি আছে। ২২২৩-১৫৫১/৩৫১৭-৬৮৭৮। ধর্মতলা থেকে-রবীন্দ্রসদনমুখী যে কোন বাস। স্টপ-রবীন্দ্র সদন (বুধ-রবি ১১-৭/মঙ্গল ৩-৭, সোম বন্ধ)।
ঠনঠনিয়া কালিবাড়ি -শঙ্কর ঘোষ প্রতিষ্ঠিত এই মন্দির সকাল ৫-৪৫-১২.৩০ ও বিকেল ৩টে-রাত ১০টা পর্্যন্ত খোলা থাকে। কলেজ স্ট্রিটের কাছে অবস্থিত। ধর্মতলা থেকে-৩৪বি, ৭৪/১, ২বি, ৫ ও ১ নং ট্রাম।
টাউন হল -বিধানসভার ভবনের উল্টো দিকে অবস্থিত। এই ঐতিহাসিক ভবনে অনেক সভা ও সম্বর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।কলকাতা কর্পোরেশন ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে কলকাতার ইতিহাস নিয়ে একটি স্থায়ী প্রদর্শনশালা আছে। কলকাতা প্যানোরামা নামে ভারতের প্রথম কথা বলা মিউজিয়াম। টিকিট-১০(সোম বাদ)। ফোন-২২৪৮-৩০৮৫। টেলিফ্যাক্স-২২৪৮-৬১৬৫(সকাল ১১-৫)। ধর্মতলা থেকে-হাঁটাপথ। হাওড়াগামী বাস। স্টপ-হাইকোর্ট।
দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির -বালি ব্রীজের কাছে গঙ্গার ধারে ১৮৪৭ সালে রাণী রাসমনি প্রতিষ্ঠা করেন। পরমপুরুষ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ এখানে মায়ের পূজারী ছিলেন এবং মায়ের সাধনা করতেন। এখানেই স্বামী বিবেকানন্দ ঠাকুর রামকৃষ্ণর কাছে দীক্ষা নিয়েছিলেন। দেশ বিদেশ থেকে বহু পর্যটক এখানে আসেন। ধর্মতলা থেকে-২ ও ৩৪নং, ৪বি বাস। দক্ষিণেশ্বর-বাবুঘাট মিনিবাস। স্টপ-দক্ষিণেশ্বর। ট্রেন-শিয়ালদহ থেকে ডানকুনি লাইনে দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে নামতে হবে। ২৫৬৮-৫২২২। খোলা-সকাল ৭টা-দুপুর ১২টা ও বিকেল ৩.৩০-রাত ৯টা।
পরেশনাথের মন্দির -গৌরীবাড়ির কাছে বদ্রিদাস টেম্পল স্ট্রিটে অবস্থিত। ১৮৬৭ সালে অবস্থিত। ২৪তম জৈনতীর্থঙ্করের উদ্দেশ্যে এই মন্দির নির্মিত। ধর্মতলা থেকে-এল ১৪বি, ২১৭এ বাস। স্টপেজ-গৌরীবাড়ি।
পুলিশ মিউজিয়াম -মানিকতলার কাছে ১১৩নং আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোডে নর্থ ডি.সি. অফিসের ভিতর অবস্থিত। এখানে বাংলায় ব্যবহৃত বন্দুকগুলি, বোমা, গুলি এবং পুলিশ অফিসারদের উপর নিক্ষিপ্ত বোমার টুকরো এবং বিধ্বস্ত গাড়ির অংশ বিশেষ রাখা আছে। সোম বাদে প্রতিদিন(১১-৫টা)। ধর্মতলা থেকে-৭৯ডি, ৩০বি, ৩০ডি। স্টপ-মানিকতলা।
প্রিন্সেপ ঘাট -বিখ্যাত ভারত বন্ধু টাকশালের প্রধান ও ভাষাবিদ জে্মস প্রিন্সেপের নামে এই ঘাটটি নতুন করে সংস্কার করা হয় আলো ও ফুলের মাধ্যমে। ১৬০ বছরের এই ঐতিহ্যময় ঘাটটি উনিশ শতকের নস্টালজিয়ায় আচ্ছন্ন করে রাখে। স্টপ-প্রিন্সেপ ঘাট। বাবুঘাটগামী যে কোন বাস ও দমদম থেকে চক্ররেল।
ফান সিটি -বেহালা, ঠাকুরপুকুর বাজার থেকে ৬.৫কি.মি দূরে(বাকারা হাট রোড) শামলীতে এই অ্যামিউজমেন্ট পার্ক। হাজারো রাইড, দুর্দান্ত সব খেলা এতে আছে। ফোন-২৪৯৫-০৯৯২। সোম-শুক্র, ১০-৭টা, শনি/রবি-১০-৮টা। ধর্মতলা-৭৫, এল ৭৫এ ও রায়চকগামী বাস। প্রবেশ মূল্য-২৫টাকা।
ফোর্ট উইলিয়াম -গঙ্গার পূর্বতীরে অবস্থিত এই ফোর্ট। ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় ফোর্টের নামানুসের এই কেল্লা ব্রিটিশরা তৈরী করেছিলেন। কলকাতা ময়দানের দুই বর্গ কিলোমিটার জুড়ে এই কেল্লা। এখন পূর্বাঞ্চল সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তর। ধর্মতলা-৪৭, ৪৭এ ও যেকোন মিনিবাস (পার্ক স্ট্রিট গামী) ১৪/১, ৩বি। স্টপ-ফোর্ট উইলিয়াম।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল -রেড রোড ও কুইন্সওইয়ের সংযোগস্থলে অবস্থিত। মহারাণী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিরক্ষার্থে তাজমহলের প্রতিরুপ এই মার্বেল পাথরের ভবনটি তৈয়ারী হয়। এখানে খুব উল্লেখযোগ্য ও দুষ্প্রাপ্র চিত্র দাখা যায়। এছাড়া নবাবী ও ব্রিটিশ আমলের কিছু তৈলচিত্র ও পুঁথি প্রদর্শিত আছে। একটি লাইব্রেরি আছে। কলকাতার অনেক ইতিহাস এখানে রক্ষিত আছে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সাউন্ড শো। ফোন-২২২৩-৫১৪২/১৮৮৯। প্রতিদিন(১০-৫) (ফাউন্টেন অব্ লাইট)। অক্টোবর-ফেব্রুয়ারি প্রতিদিন ৬.১৫-৭টা(বাংলা), ৭.১৫-৮(ইংরেজি), ফেব্রুয়ারি-জুন প্রতিদিন ৬.৪৫-৭.৩০(বাংলা), ৭.৪৫-৮.৩০(ইংরেজি)। সোমবার বন্ধ। চার্চ গেট দিয়ে ঢুকতে হবে। টিকিটের মূল্য-১০ টাকা ও ২০ টাকা। ধর্মতলা থেকে-রবীন্দ্রসদনগামী যে কোন বাস। স্টপ-প্লানেটোরিয়াম। এখান থেকে ঘোড়ার গাড়ী ভাড়া করে ময়দান ঘোড়া যায়।
ভবানীপুর গুরুদ্বার (জগৎসুধার) -শিখ সম্প্রদায়ের পবিত্র ধর্মস্থান। গ্রন্থাসাহেব রাখা আছে এখানে। ২৪৬৬-৩৮৭৭। (সকাল ৪টে-১০টা)। হরিশ মূখার্জী রোড গামী যে কোন বাস।
বিড়লা প্লানেটোরিয়াম -থিয়েটার রোড ও চৌরঙ্গী রোডের ক্রশিং-এ অবস্থিত। এই গম্বুজটি ৭৫ মিটার উঁচু। এই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হলঘরে (গম্বুজের ভিতর) একটি বড় প্রজেক্টরের সাহায্যে আকাশের গ্রহ ও নক্ষত্রের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া বিশ্বব্রহ্মান্ডের অনেক কিছু এখানে প্রদর্শিত আছে। ইংরেজী, হিন্দী ও বাংলায় প্রতিদিন বিকাল ও সন্ধ্যায় দুটো করে শো হয়। ৯৮, জে.এল.নেহেরু রোড, কল-৭১। ২২২৩-১৫১৬/৬৬১০, হিন্দী-১২.৩০, ২.৩০, ৪.৩০। ইংরেজি-১.৩০, ৬.৩০। বাংলা-৩.৩০, ৫.৩০। ছুটি ও রবিবার দান হিন্দী-১০.৩০, বাংলা-১১.৩০। ধর্মতলা থেকে-৪৭, ৪৭/১, ১৪/১, গড়িয়া-বিবাদি বাগ মিনি, এল-৯। স্টপ-বিড়লা প্লানেটোরিয়াম।
বোটানিকাল গার্ডেন -হাওড়ার শিবপুরে অবস্থিত। গঙ্গার পশ্চিমতীরে গড়ে উঠেছে এই গার্ডেন। এখানে বিভিন্ন মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্য গাছ দেখা যায়। ২৭৩ বিঘা জমির উপর অবস্থিত। একটি বিশাল বট গাছ আছে। ৩৮২ মিটার জায়গা জুড়ে রয়েছে। ১০০ বছরের উপর বয়স। ধর্মতলা থেকে-সি-৬, সি-১৪, টি-৯, এম এস-৩৫ (ভায়া বিদ্যাসাগর সেতু) এবং হাওড়া হইতে ৫৬ নং বাস এবং বি গার্ডেন-ধর্মতলা মিনিবাস। স্টপ-বি গার্ডেন। ২৬৬৮-৫৩৫৭।
বেলুড় মঠ -হাওড়া জেলায় অবস্থিত। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সদর দপ্তর। হুগলী নদীর তীরে অবস্থিত এই বেলুর মঠ দেখতে অপরুপ লাগে। এখানে মঠের ভিতর রামকৃষ্ণের মূর্তি পূজিত হয়। বিবেকানন্দের বাড়ী ও বিভিন্ন সাধকের সমাধিক্ষেত্র এখানে আছে। মঠ ও মিশনের সভাপতি এখানে থাকেন। এখানে একটি প্রদর্শনশালা আছে, তাতে কিভাবে রামকৃষ্ণ মিশন তৈরী হয়েছিল এবং সারা বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে তা দেখা যায়। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু লোক এখানে সমাগত হন। দর্শনীয় সময় সকাল ৬.৩০-১২টা ও বিকেল ৩.৩০টা থেকে ৬.৩০ পর্যন্ত। প্রবেশ মূল্য নেই। ধর্মতলা থেকে-বেলুড় মিনিবাস, হাওড়া থেকে ৫১, ৫৪। স্টপ-বেলুড় মঠ। দক্ষিণেশ্বর মন্দির থেকে বেলুড় মঠে যাবার জন্যে ফেরী সার্ভিসের ব্যবস্থা আছে।
বিড়লা ইনডাসট্রিয়াল ও টেকনোলজিকাল মিউজিয়াম- ১৯এ, গুরুসদয় দত্ত রোডে অবস্থিত।। ফোন-২২৪৭-৭২৪১। এখানে ভারতীয় শিল্পের উন্নতি ও কারিগরী প্রদর্শিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন জীবজন্তর মডেল ও তাদের পরিচিত প্রদর্শিত হয়। খোলা-১০টা থেকে ৫.৩০। ধর্মতলা হইতে-যাদবপুর-বিবাদি বাগ, একডালিয়া-বিবাদি বাগ মিনিবাস। স্টপ-গুরুসদয় রোড।
বিড়লা মন্দির -বালিগঞ্জ ফাঁড়ির নিকট অবস্থিত। সবচেয়ে বড় হিন্দুমন্দির। বিড়লা শিল্পগোষ্ঠী দ্বারা তৈরী। বিভিন্ন রকম পাথর দিয়ে তৈরী। ধরমতলা থেকে-একডালিয়া-বিবাদি বাগ মিনিবাস, ২০৫এ বাস। স্টপ-বিড়লা মন্দির। ২৪৭৫-৯৭১৭। খোলা-সকাল ৫.৩০-বেলা ১১টা ও বিকেল ৪.৩০- রাত ৯টা। প্রতিদিন খোলা।
বোস ইনস্টিটিউট -রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজের পাশে অবস্থিত। এই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন স্যার জগদীশ্চন্দ্র বসু। বসু বিজ্ঞান মণ্ডির নামে খ্যাত। বিভিন্ন দেশ থেকে রিসার্চ স্কলার, গবেষক, উদ্ভিদ জগতের উপর কাজ করতে এখনে আসেন। ধর্মতলা থেকে-৪৭/১, ৪৭, ৩০বি, ৭৯বি বাস। স্টপ-বিজ্ঞান কলেজ।
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ -এ.পি.সি. রোডের উপর সাহিত্য পরিষদ স্ট্রিটে অবস্থিত। এখানে বাংলা সাহিত্যের বহু দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ ও পত্র-পত্রিকা সযত্নে রক্ষিত আছে এবং সর্বসাধারনের পড়ার জন্য একটি রিডিং রুম আছে। ধর্মতলা থেকে-৭৯বি, ৪৭, ৩০বি বাস। ২৩৫০-৩৭৪৩। স্টপ-সাহিত্য পরিষদ।
বিধান শিশু উদ্যান -উল্টাডাঙ্গার কাছে অবস্থিত। খুব সুন্দর বাচ্চাদের খেলবার জায়গা। সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও একটি লাইব্রেরি আছে। ধর্মতলা থেকে-৪৭/১, এস-১৬, ৪৬এ, ৪৬, ৭৯ডি। স্টপ-হাউসিং (উল্টাডাঙ্গা)
মার্বেল প্যালেস -চিত্তরঞ্জন এভিনিউ ও রামমন্দিরের নিকট মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে অবস্থিত। রাজেন মল্লিকের বাগান বাড়ি নামে পরিচিত। কিছু পশুপাখি নিয়ে একটি ছোট্ট চিড়িয়াখানা আছে। এখানে শিল্পকলার উপর বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য ছবি প্রদর্শিত আছে। স্থাপত্য শিল্পের এক অপরুপ নিদর্শন। ধর্মতলা থেকে-৪৭বি, এস-১০, ৩০এ, এল-২০ ও সিঁথি মোড়-বেকবাগান মিনিবাস। স্টপ-মুক্তারামবাবু স্ট্রিট। ২২৬৯-৩৩১০। খোলা-সঃ ১০-৪টে। বন্ধ-সোম ও বৃহস্পতি। রিজিওনাল ট্যুরিস্ট অফিস গভঃ অব্ ইন্ডিয়া (২২৮২-১৪০২) থেকে অনুমতি পত্র নিয়ে ঢুকতে হবে।
মেট্রো রেলওয়ে -ভারতের প্রথম টিউব রেল অর্থাৎ পাতাল রেলের পত্তন হয় এই কলকাতায়। মাত্র ৩৩ মিনিটে দমদম থেকে টালিগঞ্জ এই ১৮ কি.মি. রাস্তা পার হয় এই মেট্রো রেল। ধর্মতলা থেকে-মেট্রোস্টেশন (গ্র্যান্ড হোটেলের বিপরিতে)। স্টপ-ধর্মতলা।
ময়দান -পার্ক স্ট্রিট ও মেয়ো রোডের সংযোগস্থলে এই ময়দান। এর প্রতিটি সবুজের আনাচে কানাচে বিভিন্ন খেলার মাঠ আছে। ময়দান মানেই ফুটবল। এখানেই তিনটি বড় ক্লাব অর্থ্যাৎ ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহামেডানের ক্লাবঘর আছে। ধর্মতলা থেকে-হাঁটাপথ। স্টপ-ময়দান।
মহাজাতি সদন -চিত্তরঞ্জন এভিনিউ-র উপর অবস্থিত এই সাংস্কৃতিক মঞ্চ। এই ভবনটি নেতাজী সুভাষচন্দ্র পরিকল্পনা করেছিলেন এবং রবীন্দ্রনাথ এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এখানে একটি লাইব্রেরি আছে। বাংলার বিপ্লব সম্পর্কিত একটি স্থায়ী প্রদর্শনী রাখা আছে মাটির তৈরী মডেল দিয়ে। এছাড়া বহু নামী ও অনামী বিপ্লবীদের তৈলচিত্র রাখা আছে এই সদনে। ধর্মতলা থেকে-৩০এ, ২১৪, ৪৭বি, ৩বি, মিনিবাস। স্টপ-মহাজাতি সদন।
মিশনারি অব্ চ্যারিটি -মাদার টেরিজা কলকাতার উপর ভিত্তি করে এই চ্যারিটি গড়ে তোলেন। এখানকার সন্ন্যাসিনীরা সমস্ত সামাজিক কাজ ও গরীব দুঃখীদের পরিচর্যা করেন। ১৯৯৭ সালের ৩রা সেপ্টম্বর মাদার টেরিজা এখানে প্রয়াত হন। এই বাড়িতে তাকে কবরস্থ করা হয় এবং একটি সমাধিক্ষেত্র গড়ে ওঠে। ধর্মতলা থেকে-২১৮, ২০৫এ বাস। স্টপ-জোড়া গির্জা।
মিলেনিয়াম পার্ক -২০০০সালে প্রথমে গঙ্গার তীরে বাবুঘাট হইতে প্রিন্সেপ ঘাট পর্্যন্ত একটি সুন্দর করিডর ও বাগান তৈরী করেছে রাজ্য সরকার। গঙ্গার দুপাশের সমস্ত পাড় সাজাবার এইরকম পরিকল্পনায় এগিয়ে আসছে রাজ্য সরকার, যাতে কলকাতা আরো সবুজ ও সুন্দর হয়ে ওঠে। স্টপ-বাবুঘাট, ধর্মতলা থেকে বাবুঘাট গামী যে কোন বাস। সকাল ১০টা-রাত ৮টা। ফোন-২২১০-৭২৮২।
রবীন্দ্রভারতী মিউজিয়াম -গনেশ টকিজের কাছে জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ির ভিতর অবস্থিত। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলার নবজাগরনের বিভিন্ন চিত্র এখানে প্রদর্শিত আছে। গান শুনি ঘরে গান শোনার ব্যবস্থা। দুটো গান-দশ টাকা। ধর্মতলা থেকে-৪বি, ৪ ও ১০ নং ট্রাম (বিবাদি বাগ থেকে)। স্টপ-রবীন্দ্রভারতী। খোলা-সকাল ১০.৩০- বিকেল ৪.৩০। সোমবার বন্ধ।
রবীন্দ্র সদন -ময়দানের দক্ষিণ পূর্ব কোণে অবস্থিত এই সদন। বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম পীঠস্থান এই রবীন্দ্রসদন। এখানে অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রদর্শনী হয়ে থাকে। ধর্মতলা থেকে-রবীন্দ্রসদনগামী যে কোন বাস।
রবীন্দ্র সরোবর -সাদার্ন এভিনিউর কাছে এই রবীন্দ্র সরোবর। পিকনিক, জলে সাঁতার ও বাইচ এর জন্য বিখ্যাত। এখানে একটি স্টেডিয়াম আছে। ধর্মতলা থেকে-৪৭এ, মেট্রোরেল। স্টপ-লেক।
রেস কোর্স -ময়দানের দক্ষিন প্রান্তের শেষে অবস্থিত। ১৮৪৭ সালে রয়েল ক্যালকাটা টার্ক ক্লাব এই রেসকোর্সের প্রবর্ত্তন করেন। এখানকার একটি বৈশিষ্ট্য যে কোন কোন্ থেকে রেস দেখা যায়। ধর্মতলা থেকে-৭৭এ বাস, ঠাকুরপুকুর ও বেহালার মিনিবাস। স্টপ-রেস কোর্স।
রাজভবন-বিবাদী বাগে অবস্থিত। এখানে রাজ্যপালের বাসস্থান। পূর্বতন ভাইসরয়ের বাড়ি ছিল। অনেক দুষ্প্রাপ্য জিনিস আছে এই রাজভবনে। এই রাজভবনের ভিতর একটি পুকুর আছে। অসংখ্য গাছপালা ও ফুলফলে শোভিত এই রাজভবন। ধর্মতলা থেকে-হাঁটাপথে। স্টপ-রাজভবন। ২২০০-১৬৪১।
বিদ্যাসাগর সেতু (দ্বিতীয় হুগলী ব্রিজ) -হেস্টিংস-এর কাছে অবস্থিত। এশিয়ার সবচেয়ে লম্বা। হুগলী রিভার ব্রিজ কমিশন এটি তৈরী করেন। ধর্মতলা থেকে- এস-১৬, ৩এ, টালা পার্ক-খিদিরপুর মিনিবাস সি-৬। স্টপ-হেস্টিংস। এর উপর গাড়ি পারাপার হলে টিকিট কাটতে হয় গাড়ি অনুযায়ী।
বিবেকানন্দের বাড়ি -৩, গৌরমোহন মুখার্জী স্ট্রিট (বিবেকানন্দ রোডে)-এ অবস্থিত। নতুন ভাবে সংস্কার করে এই বাড়িতে রাখা আছে বিবেকানন্দের ব্যবহৃত জিনিষপত্র। সংস্কার করা হয়েছে তার জন্মকক্ষ ও একটি টেক্সট বুক লাইব্রেরী তৈরী (দ্বাদশ শ্রেনী-ডিগ্রী কোর্স) করা হয়েছে। ফোন-২২১৯-২০৩০, সোমবার বন্ধ (১১-১টা, ২-৫.৩০টা)
বিবেকানন্দ ব্রিজ -বালি ব্রিজের নতুন নাম বিবেকানন্দ ব্রিজ। গঙ্গার উপর এই সেতুতে একসঙ্গে বাস ও ট্রেন যায়। পাশেই দক্ষিনেশ্বর মন্দির। স্টপ-বালি ব্রিজ। ধর্মতলা থেকে-বালি বা দক্ষিনেশ্বর গামী যে কোন বাস।
নিবেদিতা ব্রিজ -বিবেকানন্দ ব্রিজের পাশে তৈরী হয়েছে নিবেদিতা ব্রিজ যা এশিয়ার বৃহত্তম। যশোহর রোড থেকে উঠলে একবারে দিল্লী রোডে গিয়ে পড়বে। বিভিন্ন লেন দিয়ে আপ ও ডাউনের গাড়ী যাতায়াত করে। ব্রিজের পাশের নতুন রাস্তা দিয়ে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় ডানলপ থেকে দক্ষিণেশ্বরে। ধর্মতলা থেকে দক্ষিনেশ্বর গামী বাস।
শহীদ মিনার(মনুমেন্ট) -ধর্মতলায় অবস্থিত। নেপালীজ যুদ্ধের শেষে স্মারক হিসেবে এই মনুমেন্ট তৈরী হয়। আগে ছিল অক্টোরলনী মনুমেন্ট নাম। এখন এর আশে পাশেই বিভিন্ন সভাসমিতি অনুষ্ঠিত হয়। ১৫২ ফুট উঁচু এই সুন্দর মিনারটি। এর উপরে উঠতে গেলে লালবাজারের পুলিশ হেড কোয়ার্টাস থেকে অনুমতি আনতে হয় তবে এর সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠা যায়। স্টপ-ধর্মতলা।
সায়েন্স সিটি -সল্টলেকের ই.এম.বাইপাস ও পার্কসার্কাস কানেকটরের কাছে অবস্থিত। বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক এখানে প্রদর্শিত হয়। এখানে একটি বড় অডিটোরিয়াম আছে। এছাড়া পেস্ থিয়েটার, টাইম মেশিন আছে। প্রবেশ মূল্য-১৫ টাকা। (সকাল ৯টা-রাত্রি ৯টা)। স্পে্স থিয়েটার-৩০টাকা, টাইম মেশিন-১০টাকা, ইউলিউশন পার্ক-১০ টাকা দিয়ে ঢুকতে হয়। ফোন-২২৮৫-৪৩৪৩/ ২৬০৭, ২৩৪২-২৫৬৯। স্টপ-সায়েন্স সিটি। ধর্মতলা থেকে- ই-২ বাস।
সল্টলেক স্টেডিয়াম (যুবভারতী ক্রীড়িঙ্গন) -সল্টলেক-বেলেঘাটা ক্রশিং-এর কাছে এই ক্রীড়াঙ্গন। এশিয়ার এই বৃহত্তম স্টেডিয়ামে -১.২০লক্ষ লোক খেলা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে পারেন। ফুটবল ম্যাচ এখানে নিয়মিত হয়ে থাকে। স্টপ-স্টেডিয়াম। ধর্মতলা থেকে-ই-২ বাস।
সেন্ট পল্স ক্যাথিড্রাল -বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের কাছে এই চার্চ অবস্থিত। ১৮৪৭ সালে এই পুরনো চার্চটি তৈরী হয়। স্টপ-প্লানেটোরিয়াম। ধর্মতলা থেকে-রবীন্দ্রসদঙ্গামী যেকোন বাস। খোলা-সঃ ৯-১২টা/ বিঃ ৩টে-৬টা।
স্বভূমি (হেরিটেজ পার্ক) -বেলেঘাটা ও বাইপাসের কেন্দ্রস্থলে উঁচু টিলায় অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন প্রদেশের হস্তশিল্প ও প্রদর্শনী সারা বছর ধরে হয়ে থাকে। বিভিন্ন হস্তশিল্পের স্থায়ী দোকান, রেস্টুরেন্ট ও অডিটোরিয়াম আছে। টিকিট ১০ টাকা। ২৩২০-৫৪৮৭, খোলা-১২-১০টা।
রাইটার্স বিল্ডিং (মহাকরণ) -বিবাদী বাগে অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গের সরকারের প্রশাসনিক ভবন। স্টপ-বিবাদি বাগ। ২২১৪-৫৬০০।
হাওড়া ব্রিজ (রবীন্দ্র সেতু) -হুগলী নদীর উপর অবস্থিত। এই সেতু ১৯৪৩ সালে তৈরী হয় পুরনো পল্টন ব্রীজ ভেঙ্গে। পৃথিবীর মধ্যে ৪র্থ ক্যান্টিলিভার ব্রীজ। ধর্মতলা থেকে-হাওড়াগামী যে কোন বাস। স্টপ-হাওড়া সেতু।
কোলকাতার ৭৫ টি দর্শনীয় স্থানের বিবরণ
Reviewed by Wisdom Apps
on
September 01, 2018
Rating:
No comments: