শ্রীরামকৃষ্ণের ৫ টি বাণী যা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে
❁ দুষ্ট লোকের কাছে ফোঁস করতে হয় , ভয় দেখাতে হয় , পাছে অনিষ্ট করে । তাদের গায়ে বিষ ঢালতে নাই , অনিষ্ট করতে নাই ।
❁ সংসার আশ্রম ভোগের আশ্রম । আর কামিনী-কাঞ্চন ভোগ কি আর করবে ? সন্দেশ গলা থেকে নেমে গেলে টক কি মিষ্টি মনে থাকে না । তবে সকলে কেন ত্যাগ করবে ? সময় না হলে কি ত্যাগ হয় ? ভোগান্ত হয়ে গেলে তবে ত্যাগের সময় হয় । জোর করে কেউ ত্যাগ করতে পারে ?
❁ সব পথ দিয়েই তাঁকে পাওয়া যায় । সব ধর্মই সত্য । যদি বল , ওদের ধর্মে অনেক ভুল , কুসংস্কার আছে ; আমি বলি , তা থাকলেই বা , সব ধর্মেই ভুল আছে । সব্বাই মনে করে আমার ঘড়িই ঠিক যাচ্ছে । ব্যাকুলতা থাকলেই হল ; তাঁর উপর ভালোবাসার টান থাকলেই হল। তিনি যে অন্তর্যামী , অন্তরের টানে ব্যাকুলতা দেখতে পান ।
❁ সবই ঈশ্বরের শক্তি । লোকে মনে করে আমরা বড়লোক ; ছাদের জল নল দিয়ে পড়ে , মনে হয় সিংহটা মুখ দিয়ে জল বার করছে । কিন্তু কোথাকার জল। কোথা আকাশে মেঘ হয় , সেই জল ছাদে পড়েছে , তারপর গড়িয়ে নলে যাচ্ছে ; তারপর সিংহের মুখ দিয়ে বেরুচ্ছে ।
শ্রী শ্রী সারদা মায়ের ৮ টি বাণী পড়ে নিন
❁ মন না বসলেও জপ করতে ছাড়বে না । তোমার কাজ তুমি করে যাও । নাম করতে করতে মন আপনি স্থির হবে ।
❁ সন্ধিক্ষনেই তাঁকে ডাকা প্রশস্ত । রাত যাচ্ছে , দিন আসছে ; দিন যাচ্ছে , রাত আসছে ... এই হল সন্ধিক্ষণ , এই সময় মন পবিত্র থাকে ।
❁ ইশ্বরের ইচ্ছা ছাড়া কিছুই হবার সাধ্য নাই , তৃণটিও নড়ে না ।
❁ যখন জীবের সুসময় আসে তখন ধ্যান চিন্তা আসে , কুসময়ে কুপ্রবৃত্তি , কুযোগাযোগ । তাঁর যেমন ইচ্ছা তেমনি কালে আসে সব । তিনিই তার ভিতর দিয়ে কার্য করেন ।
❁ যে ঠাকুরকে একবার ডেকেছে তার আর ভয় নেই । ঠাকুরকে ডাকতে ডাকতে , কৃপা হলে , তবে প্রেম ভক্তি হয় । তাঁর নাম করবে , তাঁতে খুব বিশ্বাস রাখবে । সংসারে মা-বাপ ছেলেদের আশ্রয়স্থল , তেমনি ঠাকুরকে জ্ঞান করবে ।
❁ ধ্যান-জপের একটা নিয়মিত সময় রাখা খুব দরকার । কারণ কখন যে ক্ষণ বয় , বলা যায় না । ও হঠাত এসে উপস্থিত হয় । টের পাওয়া যায় না । সে জন্য যতই গোলমাল হোক , নিয়ম রাখা খুব দরকার ।
❁ ঠাকুরের কাছে মনের কথা জানিয়ে প্রার্থনা করবে । প্রানের কথা কেঁদে বলবে ... দেখবে তিনি একেবারে কোলে বসিয়ে নিয়েছেন ।
❁ মন্দ কাজে মন সর্বদা যায় । ভালো কাজে মন এগোতে চায় না । সে জন্য ভালো কাজ করতে গেলে আন্তরিক খুব যত্ন ও রোখ চাই ।
স্বামী বিবেকানন্দের চিরস্মরণীয় কয়েকটি বাণী
❁ "বহুরূপে সন্মুখে তোমার, ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর? জীবে প্রেম করে যেই যন, সেই যন সেবিছে ইশ্বর।"
❁ "নিজের উপর বিশ্বাস না আসিলে ঈশ্বরে বিশ্বাস আসে না।"
❁ "সত্যের জন্য সব কিছু ত্যাগ করা চলে কিন্তু কোন কিছুরই জন্য সত্যকে বর্জন করা চলে না।"
❁
"বাহিরের কিছুর উন্নতি হয় না, জগতের উন্নতি করিতে গিয়া আমারই উন্নতি হই ।"
❁ "একটি চারাগাছকে বাড়ানো তোমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব, একটি শিশুকে শিক্ষা দেওয়াও তোমার পক্ষে ততটুকু সম্ভব, তাহার বেশী নয়। তুমি যেটুকু করিতে পারো, তাহার সবটাই 'নেতি'র দিকে- তুমি শুধু তাহাকে সাহায্য করিতে পারো। শিক্ষা ভিতর থেকে বিকশিত হয়। নিজের প্রকৃতিকে শিশু বিকশিত করিতে থাকে; তুমি কেবল বাধাগুলি অপসারিত করিতে পার।"
❁ ‘মানুষ যাহা কিছুর স্বপ্ন দেখে বা ভাবে-সবই তাহার সৃষ্টি। যদি নরকের চিন্তা করিয়া মরে, তবে সে নরকই দেখিবে। যদি মন্দ এবং শয়তানের চিন্তা করে, তবে শয়তানকেই পাইবে-ভূত ভাবিলে ভূত পাইবে। যাহা কিছু ভাবনা করিবেন, তাহাই হইবেন, এইজন্য সৎ ও মহৎ ভাবনা অবশ্যই ভাবিতে হইবে। ইহার দ্বারা নিরূপিত হয় যে, মানুষ একটি ক্ষীণ ক্ষুদ্র কীটমাত্র। আমরা দুর্বল-এই কথা উচ্চারণ করিয়াই আমরা দুর্বল হইয়া পড়ি, ইহা অপেক্ষা বেশী ভাল কিছু হইতে পারি না। মনে কর, আমরা নিজেরাই আলো নিভাইয়া, জানালা বন্ধ করিয়া চিৎকার করি-ঘরটি অন্ধকার। ঐসকল বাজে গল্পকথাগুলি একবার ভাবুন! ‘আমি পাপী’ এই কথা বলিলে আমার কি উপকার হইবে? যদি আমি অন্ধকারেই থাকি, তবে আমাকে একটি প্রদীপ জ্বালিতে দাও; তাহা হইলে সকল অন্ধকার চলিয়া যাইবে। আর মানুষের স্বভাব কি আশ্চর্যজনক। যদিও তাহারা সর্বদাই সচেতন যে, তাহাদের জীবনের পিছনে বিশ্বাত্মা বিরাজিত, তথাপি তাহারা বেশী করিয়া শয়তানের কথা-অন্ধকার ও মিথ্যার কথা ভাবিয়া থাকে। তাহাদের সত্যস্বরূপের কথা বলুন-তাহারা বুঝিতে পারিবে না; তাহারা অন্ধকারকে বেশী ভালবাসে।
ইহা হইতেই বেদান্তে একটি মহৎ প্রশ্নের সৃষ্টি হইয়াছে : জীব এত ভীত কেন? ইহার উত্তর এই যে, জীবগণ নিজেদের অসহায় ও অপরের উপর নির্ভরশীল করিয়াছে বলিয়া। আমরা এত অলস যে, নিজেরা কিছুই করিতে চাই না। আমরা একটি ইষ্ট, একজন পরিত্রাতা, অথবা একজন প্রেরিত পুরুষ চাই, যিনি আমাদের জন্য সবকিছু করিয়া দিবেন। অতিরিক্ত ধনী কখনও হাঁটেন না-সর্বদাই গাড়িতে চলেন; বহু বৎসর বাদে তিনি হঠাৎ একদিন জাগিলেন, কিন্তু তখন তিনি অথর্ব হইয়া গিয়াছেন। তখন তিনি বোধ করিতে আরম্ভ করেন, যে ভাবে তিনি সারা জীবন কাটাইয়াছেন, তাহা মোটের উপর ভাল নয়, কোন মানুষই আমার হইয়া হাঁটিতে পারে না। আমার হইয়া যদি কেহ প্রতিটি কাজ করে, তবে প্রতিবারেই সে আমাকে পঙ্গু করিবে। যদি সব কাজই অপরে করিয়া দিতে থাকে, তবে সে অঙ্গচালনার ক্ষমতা হারাইয়া ফেলিবে। যাহা কিছু আমরা স্বয়ং করি, তাহাই একমাত্র কাজ যাহা আমাদিগের নিজস্ব। যাহা কিছু আমাদের জন্য অপরের দ্বারা কৃত হয়, তাহা কখনই আমাদের হয় না। তোমরা আমার বক্তৃতা শুনিয়া আধ্যাত্মিক সত্য লাভ করিতে পার না। যদি তোমরা কিছুমাত্র শিখিয়া থাকো, তবে আমি সেই স্ফুলিঙ্গ-মাত্র, যাহা তোমাদের ভিতরকার অগ্নিকে প্রজ্বালিত করিতে সাহায্য করিয়াছে। অবতার পুরুষ বা গুরু কেবল ইহাই করিতে পারেন।’
শ্রীরামকৃষ্ণ , মা সারদা ও স্বামী বিবেকানন্দের সুন্দর বাণীগুলি পড়ে নিন
Reviewed by Wisdom Apps
on
August 25, 2018
Rating:
No comments: